এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও :

গেল টানা ভারী বর্ষণও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া পোকখালীতে ( ঈদগাঁও নদীর অংশ ছড়া খাল) বেড়িঁবাধের নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ বয়ে যাচ্ছে। এ বেঁড়ীবাধ ভাঙ্গনের ফলে শত শত ঘরবাড়ী পানিবন্দি হয়ে এবারের ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন বিশাল এলাকা বাসী। জানা যায়, ঈদগাঁও বাজার ছাড়াও পার্শ্ববতী বৃহত্তর ঈদগাঁওর অন্যান্য ইউনিয়নের নিন্মাঞল এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি ককসবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পোকখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামাঞ্চল ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে ৩/৪ শত পরিবারের হাজার হাজার লোকজন পানিবন্দি রয়েছিল। ঐসব এলাকার পানিবন্দি পরিবারের অসহায় লোকজনের মাঝে ঈদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দটি ভেস্তে গেলো। স্থানীয় মুরব্বী শাহ আলম,আমির হোসেন ও ফরিদ আলম আজকের কক্স বাজারকে হতাশ কন্ঠে জানান, গেল বন্যার পানিতে পোকখালীতে খালের বেঁড়ীবাধ ভেঙ্গে পশ্চিম পাড়া,কোনা পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের বহু বসতবাড়ী পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এমনকি পবিত্র ঈদের দিনেও লোকজন পরির্পূন আনন্দ করতে পারেনি। তারা আরো জানান, এ অংশের বেড়িবাঁধটি টেকসই ভাবে নির্মান না করলে বিশাল এলাকাবাসীকে মরন দশায় ভোগতে হবে। সে সাথে তারা বর্ষা মৌসুমে চরম আতংকেও থাকেন বলে জানান। এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২১ জুন আজকের কক্সবাজার পত্রিকায় একটি সংবাদ ও প্রকাশিত হয়েছিল। এ রিপোট প্রকাশের পরপরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন পোকখালীর এ ছড়া খালের বেঁড়ীবাধের নির্মান কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান লুতু বেঁড়ীবাধের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান। তবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ বেঁড়ীবাধ নির্মান কাজ চলমান বলে জানান।